প্রধান প্রধান রাস্তায় যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, যেখানে-সেখানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো আর সড়ক-মহাসড়ক দখলবাজির কারণেই যানজটের অভিশাপ থেকে রেহাই মিলছে না। রাস্তার মাঝ বরাবর গাড়ি থামিয়ে শত শত গাড়ির চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনাতেও কঠোর কোনো শাস্তির নজির নেই। অহরহ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে করা হয় নামকাওয়াস্তে জরিমানা। এসব অপরাধে গাড়ি বা চালককে আটক রাখারও কোনো বিধান নেই। শাস্তিহীনতায় দিন দিনই চালকরা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। এসব কারণে সড়কগুলোতে সৃষ্ট জঞ্জালে লেগেই থাকে বিশৃঙ্খলা। ট্রাফিক বিভাগ সড়কে বিশৃঙ্খলা দূরীকরণের ব্যর্থতা ঢাকতে ‘যানজট’ দোহাই দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিন বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শনকালে দেখা যায়, যেসব পয়েন্টে ট্রাফিক ও সার্জেন্টরা ডিউটিতে ব্যস্ত সেখানেই যানজটের ভয়ঙ্কর দৃশ্যপট গড়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে টার্গেটকৃত গাড়িগুলো থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষার নামে বখড়াবাজি চালানোর নানা দৌরাত্ম্য লক্ষ্য করা গেছে। এসব বখড়াবাজির লেনদেন, দরকষাকষির ঘটনাতেই ট্রাফিক পয়েন্টসমূহে যানজটের সূত্রপাত ঘটে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় ট্রাফিকশূন্য রামপুরা ব্রিজ এলাকায় অসংখ্য গাড়ির নির্বিঘ্ন চলাচল দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু রাত ১১টা ৪০ মিনিটে সেখানে একজন সার্জেন্ট ও দুজন ট্রাফিক সদস্য পৌঁছেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তারা নিজেরাই ট্রাফিক পয়েন্টের ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল অমান্য করে মনগড়াভাবে একদিকের রাস্তা ক্লিয়ার করতে থাকেন। পরপর তিন দফা এ সিগন্যাল অমান্য করতেই বিপরীতমুখী সড়কে শত শত গাড়ির দীর্ঘ লাইন জমে ওঠে। ওই সড়কে পেছনে আটকে পড়া গাড়িগুলো সামনের দিকে যাওয়ার জন্য ডানে-বাঁয়ে এলোপাতাড়ি ঢুকতে থাকে। ফলে ১০-১২ মিনিটের মধ্যেই গড়ে ওঠে ভয়ঙ্কর যানজট। পরবর্তী এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একাধিক সার্জেন্ট চেষ্টা করেও সে যানজটের সুরাহা করতে পারছিলেন না। এ ব্যাপারে রামপুরা ব্রিজের দক্ষিণ প্রান্তে দায়িত্বরত সার্জেন্ট জানান, বাড্ডার দিকের রাস্তাটি ক্লিয়ার না থাকায় হাতিরঝিলের মুখে কয়েকশ গাড়ির ভিড় জমে ওঠার খবর পাওয়া যায় ওয়াকিটকিতে। ফলে তিন সিগন্যাল পর্যন্ত একমুখী গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করার চেষ্টাতেই বনশ্রী ও রামপুরার দিক থেকে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে রাজধানীতে মধ্যরাতেও ভয়াবহ যানজট সৃষ্টির নেপথ্য কাহিনী জানা গেছে। রাত ১০টার পর থেকেই ব্যস্ততম বিভিন্ন সড়কের সিংহভাগ অংশ বাস-মিনিবাসের পার্কিংস্থল হিসেবে ভাড়া দেওয়া হয়। ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় পর্যায়ের মাস্তান-সন্ত্রাসীরা এসব সড়ক ভাড়া দিয়ে লাখ লাখ টাকা বখড়া হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাত ৯টার পর মহাখালী টার্মিনাল থেকে মহাখালী মোড় পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে তিন সারিতে শত শত কোচ পার্ক করে রাখা হয়। ফাঁকা রাখা সামান্য একচিলতে রাস্তা দিয়ে প্রাইভেটকার-মাইক্রো যাতায়াতও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। অবৈধ পার্কিং বাণিজ্যের কারণে বঙ্গবাজারের সামনে থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ফুলবাড়িয়ার প্রশস্ত রাস্তাটি অনেক আগেই হারিয়ে গেছে। স্থানটি মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, কাপাসিয়া, কালিগঞ্জ, সাভার-ধামরাইসহ ৩০টি রুটের শত শত বাস-মিনিবাসের স্থায়ী টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। ফলে গোটা সড়কটি টার্মিনাল, না স্ট্যান্ড, নাকি হাটবাজার তা ঠাহর করা মুশকিল। একইভাবে মিরপুর ১১ থেকে ১২ পর্যন্ত, কালশী সড়ক, মিরপুর মাজার রোড, চিড়িয়াখানা রোড, যাত্রাবাড়ী থেকে শনির আখড়া পর্যন্ত, মোহাম্মদপুর টাউন হল থেকে ধানমন্ডি আবাহনী মাঠ পর্যন্ত, আজিমপুর মোড়ের চারপাশের রোডগুলো, টিকাটুলী রাজধানী মার্কেট থেকে সায়েদাবাদ ব্রিজ পর্যন্ত, রিং রোড থেকে মেরুল বাড্ডা পর্যন্ত, মালিবাগ বাজার মোড় থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার, কমলাপুর স্টেশন থেকে পীরজঙ্গি মাজার পর্যন্ত এলাকা বিভিন্ন রুটের বাস-মিনিবাসের স্থায়ী টার্মিনালে পরিণত হয়েছে। রাস্তার ওপরই চলে গাড়ি ধোয়ামোছা ও মেরামতের কাজ। গুলিস্তানের সব রাস্তা-ফুটপাথই থাকে হকারদের দখলে। পুরান ঢাকার প্রধান সড়ক নর্থ-সাউথ রোডের অর্ধেকটা অনেক আগেই দখল করে নিয়েছে সংলগ্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ওই সড়কের বেশির ভাগ অংশই সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মালামাল রাখা ও লোড-আনলোডের পয়েন্টে পরিণত হয়ে আছে।
ট্রাফিক ক্রসিং পয়েন্টই বেহাল : ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা গড়ে তুললেও ট্রাফিক কর্মকর্তারাই সেসব সিগন্যাল ব্যবস্থা অচল করে ফেলে রাখছেন। রাস্তায় দাঁড়ানো ট্রাফিক কর্মকর্তারা লাল-সবুজ সংকেতের ভ্রুক্ষেপও করেন না। তারা ইচ্ছামাফিক গাড়ি ছাড়েন, ইচ্ছামাফিক বন্ধ রাখেন। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবেশমুখের ব্যস্ততম মোড়ে লাল-সবুজের ইলেকট্রিক্যাল সংকেত বাতির সঙ্গে ট্রাফিক পুলিশও লাঠি-বাঁশি হাতে সদা তৎপর থাকেন। এরপরও রশি টেনে রাস্তা পারাপারকারী পথচারীদের আটকে রাখার হাস্যকর ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তারা। এসব পয়েন্টে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংযোগ সড়কে যানজটের হতশ্রী অবস্থা লক্ষণীয়। এগুলো হচ্ছে মগবাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, শান্তিনগর, মালিবাগ, কাকরাইল, বেইলি রোড, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি ৩ নম্বর, কলাবাগান, গাউছিয়া মার্কেট, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ ব্রিজ, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, টয়েনবী সার্কুলার রোড, ফুলবাড়িয়া, ইংলিশ রোড, নয়াবাজার, সদরঘাট, নবাবপুর, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও রেলগেট, মুগদা, দৈনিক বাংলা মোড়, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর বিআরটিসি টার্মিনাল, মিরপুর রোড, মিরপুর গোলচত্বর থেকে কচুক্ষেত, সোনারগাঁও রেলক্রসিং ও উত্তরা আবদুল্লাহপুর।
কনটেইনারবাহী ট্রেইলারের দখল : রাজধানীর সবুজবাগ বৌদ্ধমন্দির থেকে টিটিপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত বিশ্বরোডের দুই পাশ দখল হয়ে গেছে। বড় আকারের কনটেইনারবাহী ট্রেইলারগুলো বিশ্বরোডে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকায় প্রতিদিন ছোট-বড় সাত-আটটি দুর্ঘটনা ঘটছে। কমলাপুর শহীদ মোস্তফা স্টেডিয়ামের সামনে থেকে খিলগাঁও যাওয়ার বিশ্বরোডের প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ২৫ ও ৪৫ ফুট দীর্ঘ এবং ১০ ফুট প্রস্থের দুই ধরনের ট্রেইলার গাড়ি বিশ্বরোডের দুই পাশের অর্ধেক জায়গা দখল করে রেখেছে। এ রোডে চলাচল করা যানবাহনের চালকরা জানান, রাস্তা দখল করে বড় বড় ট্রেইলার গাড়ি রাখায় মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। এসব দুর্ঘটনার জন্য গাড়ির চালকদের দায়ী করা হলেও যারা সড়ক দখল করে তাদের দোষ হয় না। পুলিশ ট্রেইলারপ্রতি প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা মাসোহারা হাতিয়ে রোডের ওপর পার্ক করার সুযোগ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
শাখা রাস্তা সবই বেহাল : ঢাকায় যানবাহন চলাচলের প্রধান প্রধান রাস্তা ছেড়ে শাখা রাস্তাগুলোতে প্রবেশ করার কোনো উপায় নেই। সেসব রাস্তার প্রবেশমুখেই শত শত থ্রি হুইলার, নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটো, রিকশাভ্যানের গাদাগাদি আর দোকানপাটের পসরা ঠেলে, মানুষের ভিড় পেরিয়ে যেতে যে-কারোর নাভিশ্বাস ওঠে। চাঁদাবাজির নিমিত্তে রাজধানীর সর্বত্র চলাচল করছে লক্ষাধিক ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা। নিয়ন্ত্রণহীন এসব গাড়ির বৈধতা বলতে কিছুই নেই। প্রতিটি শাখা রোডের মুখেই গাড়িগুলোর সীমাহীন জটলা থাকে। তা গলিয়ে গাড়ি নিয়ে কেউ ঢুকে পড়লে তার দুর্ভোগের আর অন্ত থাকে না। শাখা রোডগুলোর বিশৃঙ্খল-জট প্রায়ই প্রধান রাস্তাজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করে। তখন শত শত যানবাহন আটকে পড়ে অনিশ্চয়তার বেড়াজালে।
আরেক জঞ্জাল প্রাইভেটকার : ঢাকায় অভিজাত শ্রেণির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘিরে অর্ধলক্ষাধিক প্রাইভেট গাড়ির আনাগোনায় গোটা রাজধানীর যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে চলেছে। এসব গাড়ি শুধু শিক্ষার্থীকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়া বা স্কুল থেকে নিয়ে যাওয়ার কাজে ব্যবহূত হয় না। বরং বেশির ভাগ গাড়ি দিনভর স্কুলের আশপাশের রাস্তায় কয়েক সারিতে পার্ক করে অপেক্ষমাণ থাকে। ধানমন্ডি, গুলশান, মতিঝিল, উত্তরা, মোহাম্মদপুরের বেশ কয়েকটি রোড শুধু স্কুলকেন্দ্রিক প্রাইভেটকারের জন্য অচল পড়ে থাকছে। এসব রাস্তায় যানবাহন চলাচল দূরের কথা, গাড়ির সারি পেরিয়ে পায়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত প্রাইভেটকারের উপস্থিতি। রাস্তার যানবাহনের প্রায় ৮০ শতাংশই প্রাইভেটকার। কোনো কোনো পরিবারের তিন-চারটি প্রাইভেটকার রয়েছে। একটি রিপোর্টে দেখা যায়, রাজধানীর মোট রাস্তার ৫৪.২ শতাংশ জায়গা দখলে রাখে প্রাইভেটকার।
ইউলুপেই কমবে ২৫ শতাংশ যানজট : তেজগাঁও সাতরাস্তা থেকে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত যে ১২টি সড়কের মোড়ে সরাসরি রাইট টার্ন ক্রসিং রয়েছে, সেগুলোই শুধু ইউলুপে পরিণত করা হলে ২৫ ভাগ যানজট কমবে। রাজধানীর যানজট নিয়ে মাসব্যাপী জরিপ শেষে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সরাসরি রাইট ক্রসিংগুলো সব ইউলুপে পরিণত করা হলে এবং রেলক্রসিংসমূহে ছোট ছোট ওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস করা হলে ঢাকার যানজট অর্ধেকে নেমে আসবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না থাকায় সিটি করপোরেশন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না। রাজধানীর গুলশান থেকে হাতিরঝিল হয়ে রামপুরামুখী যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মধ্যবাড্ডায় ইউলুপ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু দুই বছরেও ইউলুপের কাজ শেষ হয়নি। বরং নির্মাণকাজ চলায় ওই পয়েন্টে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। এতে ভোগান্তি বাড়ছে নগরবাসীর।
যানজট নিরসনে নতুন সড়ক : রাজধানীর যানজট নিরসনে ঢাকার পূর্বপাশ দিয়ে ১১ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৪ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে রাজধানী ঘিরে বৃত্তাকার ৯১ কিলোমিটারের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। রাজধানী ঢাকায় প্রবেশ না করে যে কোনো যানবাহন সড়কপথে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছাতে পারবে। আশা করা হচ্ছে, এতে রাজধানীর যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। এ ব্যাপারে পানি নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের সঙ্গে ইস্টার্ন বাইপাস বহুমুখী সড়ক-সংক্রান্ত একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে জমা দেওয়া হয়েছে। সরকারের অনুমোদন পেলেই প্রকল্পটি শুরু হবে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। ঢাকাকে ঘিরে বৃত্তাকার নৌরুট থাকলেও পূর্ণাঙ্গ কোনো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে বৃত্তাকার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠলে ব্যাপক সাড়া ফেলবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ২৪ কিলোমিটার নতুন সড়ক নির্মাণের ফলে উভয় পাশের সংযুক্তিতে বৃত্তাকারে তা মোট ৯১ কিলোমিটারে পরিণত হবে। আবদুল্লাহপুর থেকে তেরমুখ, তেরমুখ থেকে পূর্বাচল হয়ে ডেমরা, ডেমরা থেকে শিমরাইল দিয়ে সাইনবোর্ড হয়ে বিশ্বরোড-চাষাঢ়া, চাষাঢ়া থেকে ফতুল্লা হয়ে শ্যামপুর-সদরঘাট, সদরঘাট-বাবুবাজার হয়ে গাবতলী, গাবতলী থেকে বিরুলিয়া-ধউর হয়ে আবদুল্লাহপুর।
- ব্রেকিংবিডিনিউজ২৪ / ১০ জুন ২০১৮ / তানজিল আহমেদ